জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরের বকশীগঞ্জে মেরুরচর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মেরুরচর হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে ব্যাপক সংর্ঘষে আল আমিন (২২) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত আল আমিন বাঘাডুবা গ্রামের আচ্ছা মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় ৭ জনকে আটক করা হয়েছে।
এসময় বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম সম্রাট ও ওসি তদন্ত আব্দুর রহিম ও ৫ জন পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক সমর্থক আহত হয়েছে।
সংর্ঘষের ঘটনায় বকশীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি গাড়ীতে অগ্নি সংযোগসহ পুলিশের এএসপির গাড়ী ভাংচুর করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রায় দুই শতাধিক রাউন্ড গুলি করেছে। জামালপুর পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, ভোট চলাকালীন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান কেন্দ্রে প্রবেশ করলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোয়ার হোসেনের সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে।
পরে তারা একত্রিত হয়ে কেন্দ্রের মধ্যে হামলা চালায়। হামলায় এএসপি রাসেল ও বকশীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম সম্রাট অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
এ সময় পুলিশের গাড়ি সহ ৪টি মোটরসাইকেলে আগুণ দেয় এবং এএসপির গাড়ি ভাংচুর করে বিক্ষুব্দ এলাকাবাসী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ২ শতাধিক রাউন্ড গুলি করা হয়।
পরে র্যাব, বিজিবি ও অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বন্ধ হয়ে যায় মেরুরচর হাসেন আলী উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র।
জামালপুর পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনায় ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। এ নিয়ে বকশীগঞ্জ থানায় নিয়মিত মামলা করা হবে। অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হবে না।