অনলাইন ডেস্ক: বিশ্বকাপে অবতীর্ন হওয়ার আগেও সমর্থকদের সুখবর দিতে পারেনি ইংল্যান্ড। টানা ৬ ম্যাচে জয়হীন থেকে বিশ্বকাপ অভিযান তাদের। তবে এবারের বিশ্বকাপে যে ফেভারিট তালিকায় আলোচনার বাইরে থেকেও দারুণ কিছু করতে এসেছে সাউথগেটের দলটি, সোমবার খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ৬-২ গোলের বিশাল ব্যবধানে জিতে তা জানিয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড।
এর আগে গত বিশ্বকাপে পানামার বিপক্ষে ৬-১ গোলে ইংল্যান্ডের জয়টি ছিল সর্বোচ্চ। সেই রেকর্ডকে শ্রদ্ধা করে থেমেছে ইংল্যান্ড ৬-২এ।
র্যাঙ্কিংয়ে ৫ ভার্সেস ২০ এর লড়াইটা ছিল ইউরোপ ভার্সেস এশিয়াও। তবে এশিয়া মহাদেশে মরুর বুকে বিশ্বকাপ যে মরু দেশগুলোকে উদ্দীপ্ত করতে পারছে না, স্কিলে লাতিন-ইউরোপের ফুটবল শক্তির ঘরানার ফুটবলের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে আনতে পারছে না, তা জেনে গেছে পর পর ২ দিন বিশ্ব।
৪-২-৩-১ ফরমেশনে ইংল্যান্ডের গতিময় ফুটবলের বিপরীতে ইরানের ৫-৪-১ ফরমেশনের ফুটবল শুরু থেকেই ছিল এলোমেলো। ২০১৮ বিশ্বকাপে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পর্তুগালকে ১-১ গোলে রুখে দিয়ে, স্পেনের কাছে ১-০ গোলে হেরে প্রশংসিত ইরান এই আসরেও ইউরোপীয় ফুটবল শক্তিদের সামনে ভীতি ছড়াবে বলে যে ধারণা করা হয়েছিল, সে ধারণা ভুল প্রমানিত হয়েছে। গতির লড়াইয়ে ইংল্যান্ডের কাছে পর্যুদস্ত হয়েছে ইরান।
পুরো খেলায় বল দখলে ইংল্যান্ড ছিল ৭৮%-২২% এগিয়ে। গোল পোষ্ট লক্ষ্য করে শটও নিয়েছে তারা তুলনামূলক বেশি (১৩-৮)।
একচ্ছত্র খেলায় প্রথম গোলটি পেতে ইংল্যান্ডকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৩৫ মিনিট পর্যন্ত। খেলার ২৯তম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেন ম্যাসন মাউন্ট।তিন মিনিট পর ডিফেন্ডার হ্যারি ম্যাগুইয়ারের হেড ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। ৩৫ মিনিটের মাথায় কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পেয়ে যায় তারা। লুক শর ক্রসে ছয় গজ বক্সের মুখে হেডে বল জালে পাঠান জুড বেলিংহ্যাম (১-০)। এই গোলটি উজ্জীবিত করেছে ইংল্যান্ডকে।
৪৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সাকা। কর্নার থেকে ডি-বক্সে ম্যাগুইয়ারের হেড পাসে দারুণ ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন আর্সেনালের তরুণ ফরোয়ার্ড (২-০)।প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে দলের পক্ষে তৃতীয় গোল করেন স্টার্লিং। কেইনের ক্রস থেকে দুর্দান্ত ভলিতে গোল করেন চেলসির স্ট্রাইকার (৩-০)।
প্রথমার্ধে ৩-০ গোলে এগিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে একই তালে ইরানের উপর শাড়াশি আক্রমন করতে থাকে ইংল্যান্ড। খেলার ৬৪ মিনিটের মাথায় রহিম স্টার্লিং থেকে বল পেয়ে দ্বিতীয় গোল করতে ভুল করেননি শাকা। ডি বক্স থেকে দারুণ দক্ষতায় বাঁ দিক দিয়ে নিচু শটে দলের পক্ষে চতুর্থ গোল করেন (৪-০)।
১৯৬৬ বিশ্বকাপে জয়ের অতীত সুখস্মৃতি বর্তমান প্রজন্মকে মনে করিয়ে দিতে পারছে না ইংল্যান্ড দল। সর্বশেষ ইউরো’র ট্রফি জয়ের সুযোগটা এসেও দেয়নি ধরা। ফাইনালে পেনাল্টি শুট আউটে ভেঙ্গেছে ইংল্যান্ডের স্বপ্ন।