অনলাইন ডেস্ক: জাতীয় নির্বাচনের পৌনে দুই বছর সময় বাকি থাকলেও এখন থেকেই পুরোদমে প্রস্তুতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এজন্য সব কর্মপরিকল্পনা সাজাচ্ছে দলটি। তৈরি করা হয়েছে বিশাল রোডম্যাপ।
সেই আলোকে চলছে নির্বাচনি প্রস্তুতি পর্ব। গঠন করা হচ্ছে ভোটকেন্দ্রভিত্তিক সাংগঠনিক কমিটি। দলের মনোনয়নের বিষয়টি দেখভাল করবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যদিও সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী বাছাই আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়নি। তবে বিভিন্ন জরিপ এবং তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন দলের সভানেত্রী।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দল গোছাচ্ছে আওয়ামী লীগ। নির্ধারিত সময়েই, অর্থাৎ আগামী ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হবে দলটির জাতীয় সম্মেলন। এ লক্ষ্যে শুরু হয়েছে জোরালো প্রস্তুতি।
দলের সাংগঠনিক বিভাগ ও জেলাগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের আগামী জুলাই মাসের মধ্যে সারা দেশের মেয়াদোত্তীর্ণ শাখা ও ইউনিটগুলোর সম্মেলন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে সংগঠনকে আরো সুসংহত করার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে দলটি।
ইতিমধ্যে জেলায় জেলায় প্রতিনিধি সভা, বর্ধিত সভা ও সম্মেলন শুরু হয়েছে। গত মাস থেকে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড শাখার সম্মেলন জোরালোভাবে চলছে। এছাড়া সহযোগী সংগঠনগুলোকে তৃণমূল পর্যন্ত সুসংগঠিত করার কাজও চলছে সমানতালে।
জানা গেছে, বিশাল জনগোষ্ঠীর কথা মাথা রেখেই জনগণের চাহিদানুযায়ী একটি নির্বাচনি ইশতেহার প্রণয়ন করা হবে। নির্বাচনি ইশতেহার প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত কমিটিও কাজ শুরু করেছে।
জনগণ কী চায় সেই বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে ইশতেহার প্রণয়ন করার চিন্তা করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দেশকে শক্তিশালী করা এবং বেকার যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের বিষয়টি অগ্রাধিকার পাবে এবারের ইশতেহারে।
নির্বাচনের আগে দল গুছিয়ে নেতাকর্মীদের দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনি মাঠে নামাতে চায় হাইকমান্ড।
দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগে তৃণমূল অর্থাত্ মহানগর, জেলা-উপজেলা-থানা-ইউনিয়ন-ওয়ার্ড পর্যায়ের সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটিগুলোকে হালনাগাদ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় ২০১৯ সালের ২০ ও ২১ ডিসেম্বর। সভাপতি পদে নবম বারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচিত হন।
দ্বিতীয় বারের মতো সাধারণ সম্পাদক হন ওবায়দুল কাদের। এই কমিটির মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই দলটিকে ২২তম জাতীয় সম্মেলন করতে হবে।