অনলাইন ডেস্ক: জাতীয় শোক দিবসে দূতাবাসের সমাবেশে ড. আলেসান্দ্রা বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো একজন কালজয়ী নেতার আত্মজীবনী অনুবাদের সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত।”
তিনি আরও বলেন, এটি তার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এক অর্জন হয়ে থাকবে। এ সময় ড. আলেসান্দ্রা রামোস ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র পর্তুগিজ অনুবাদ থেকে এক পৃষ্ঠা পাঠ করেন।
ব্রাজিলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসার নিরলস প্রচেষ্টা ও দূতাবাসের সার্বিক সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী গ্রন্থ ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ব্রাজিলের পর্তুগিজ ভাষায় অনুবাদের উদ্দেশ্যে অনুবাদক হিসেবে ব্রাসিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি ভাষা ও অনুবাদ বিভাগের অধ্যাপক ড. আলেসান্দ্রা রামোসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ অনুষ্ঠানের অন্যতম অতিথি ব্রাসিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সেক্রেটারি ড. ভার্জিলিও আলমেইদা বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাংলাদেশের নন, তিনি সকল শোষিত মানুষের নেতা। একই সাথে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী ব্রাজিলীয় পর্তুগিজ ভাষায় অনুবাদের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী ও ক্ষুরধার আত্মজীবনী ব্রাজিলের জনগণ সম্যক অনুধাবন করতে পারবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ব্রাজিলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের পরিচালক অ্যালোইসিও বারবোসা বঙ্গবন্ধুকে শুধু বাংলাদেশের জাতির পিতাই নন, সমগ্র বিশ্বের শান্তির দূত হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
আমন্ত্রিত ব্রাজিলিয়ান সাংবাদিক অতিথিদের মধ্য থেকে ফাবিয়ান চৌহান, ইভান গোদুই ও লিজ লোবো ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ভ্রমণকালে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা থেকে তাদের মূল্যবান স্মৃতিচারণ করেন।
সাংবাদিক ইভান গোদুই ফিদেল কাস্ত্রোর অমর উক্তি হিমালয়ের সাথে তুলনা করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার শ্রদ্ধা ও ভালবাসা প্রকাশ করেন।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও যথাযোগ্য ভাবগম্ভীর পরিবেশে দক্ষিণ আমেরিকার একমাত্র বাংলাদেশ দূতাবাস ব্রাসিলিয়াতে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতার ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকীর এ অনুষ্ঠান গত সোমবার জাতীয় সঙ্গীতের সাথে রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা কর্তৃক জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মাধ্যমে শুরু হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাত বরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের সকল শহীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।