পরীমনি`র বন্ধু হিসেবে পরিচয় দিতেন সব জায়গায়। পরীমনিকে নিয়ে গিয়েছিলেন দুবাইতেও। সেই অমির সঙ্গে পরীমনির এখন বিরোধ। পরীমনির করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন অমি। অমি`র বিরুদ্ধে আরও একাধিক অভিযোগ রয়েছে এবং সে সমস্ত অভিযোগগুলো পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।
কিন্তু অমি`র সম্পর্কে যত দিন যাচ্ছে ততই বেরিয়ে আসছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। শুধু পরীমনি নয় পরীমনি`র মত অনেক গার্লফ্রেন্ড ছিল অমি`র এবং মেয়েদের সঙ্গে সখ্যতা করা, তাদেরকে পটিয়ে বিদেশি নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি ছিল অমি`র এক ধরনের নেশা। বন্ধু মহলে অমি পরিচিত ছিলেন লেডি কিলার হিসেবে।
জানা যায় যে, পরীমনি`র সঙ্গে অমি`র পরিচয় করিয়ে দেন জিমি এবং এরপর অমি নিয়মিত পরীমনির বাসায় যেতেন। পরীমনিকে নিয়ে দুবাইতেও গিয়েছিলেন অমি এমন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তবে শুধু পরীমনি একা নয় অমি`র গার্লফ্রেন্ডের তালিকা বেশ দীর্ঘ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র বলছে যে, আমাদের তারকা জগতের অনেকের সঙ্গেই অমির সখ্যতা ছিল এবং তাদেরকে তিনি বিভিন্ন রকম দামি উপহার দিতেন। আদম ব্যবসা, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অমি বিপুল বিত্তের মালিক হয়েছিলেন এবং ঢাকা বোট ক্লাবসহ বিভিন্ন ক্লাবের তিনি মেম্বারও ছিলেন।
এ সমস্ত ক্লাবে মেয়েদেরকে নিয়ে যেয়ে ফুর্তি করা এবং বন্ধুত্ব গড়ে তোলা ছিল তার এক ধরনের নেশা। বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে যে, ঢাকার চলচ্চিত্র, শোবিজ এবং মিডিয়ার অনেকের সঙ্গেই অমি`র ঘনিষ্ঠতা ছিল এবং বন্ধুত্ব ছিল। এদের বাড়িতে তার নিয়মিত যাতায়াত ছিল। অমি`র ফোনে এরকম অন্তত ১২ জন মিডিয়ার নারীদের ছবি পাওয়া গেছে যাদের সাথে অমি সখ্যতা গড়ে তুলেছিলেন। তবে এই সখ্যতা বেশিদিন টিকত না।
অমি`র অভ্যাস ছিল কারো সাথে একটা সম্পর্ক তৈরি করে কিছুদিন তার সঙ্গে প্রেমের খেলা খেলে তার সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করা এবং অন্য কারো সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলা। অমি`র বন্ধুরা জানিয়েছেন, মেয়েদের পেছনে অমি অনেক টাকা খরচ করতেন। শুধু শোবিজের তারকা নয়, বিভিন্ন কর্পোরেট সেক্টরে অনেক সুন্দরীদেরকেও অমি টাকা এবং উপহার দিয়ে তার সাথে ঘনিষ্ঠ হতে প্ররোচিত করতেন।
অমি`র আরেকটা দিকও পাওয়া যাচ্ছে, সেটি হল যে অমি`র সঙ্গে বড় বড় ব্যবসায়ী মহলের সখ্যতা ছিল এবং এই ব্যবসায়ী মহলের মধ্যে অমি জনপ্রিয় ছিলেন মেয়ে সাপ্লাই দেওয়ার জন্য। বিভিন্ন শোবিজের পরিচিত মুখ, সুন্দরী মেয়েদেরকে অমি বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেন, তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলতেন।
এতে অমি`রও যেমন লাভ হতো, ওই নারী`রও লাভ হতো। অমি`র বিরুদ্ধে একটি গুরুতর অভিযোগ এসেছে তা হলো যাদের সঙ্গে অমি পরিচিত হতেন, বন্ধুত্ব করতে, নানাভাবে তিনি তাদের ব্ল্যাকমেইলও করতেন। আর এই ব্ল্যাকমেইল করেই আমি তাদেরকে অন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পর্ক করার ক্ষেত্রে প্ররোচিত করতেন বলে জানা গেছে।
আর এই সমস্ত বিষয়গুলো এখন খতিয়ে দেখে দেখা যাচ্ছে যে, অমি`র যেমন অনেক ভিআইপি গার্লফ্রেন্ড আছে, তেমনি আছে তার তাদেরকে প্রতারিত করার ইতিহাস। এগুলো এখন আস্তে আস্তে তদন্তে বেরিয়ে আসবে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার