বিডিনিউজ ডেস্ক: দেশের সেলিব্রেটি মডেল এবং চলচ্চিত্র নায়কদের লুক গ্যাটাপ স্টাইল এর মাধ্যমে পরিবর্তন করে আলোচিত হয়েছেন জনি। আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে হিরো আলম এবং টিকটকার অপুর ফ্যাশান লুক চেইঞ্জ করে।
এর বাইরে বড় বড় শুটের নির্দেশক বা মডেলিং গ্রæমার ও ফ্যাশন কোরিওগ্রাফার হিসেবে কাজ করছেন তানজিল জনি। যিনি ফ্যাশন ‘মডেল তৈরির কারিগর’ হিসেবে বেশ পরিচিতি পেয়েছেন।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে চলচ্চিত্র আর ওয়েব সিরিজে দেশীয় অভিনেতাদের লুকে নিজের সর্বোচ্চটুকু ঢেলে দিতে চান তানজিল।
এ ব্যাপারে জনি জানান, ‘আসলে প্রপার গ্রুমিং আর প্রস্তুতি থাকলে সবার ভেতর থেকে সৌন্দর্যটা বের করে আনা যায়। আমাদের চলচ্চিত্র আর ওয়েব সিরিজে লুক আর গেটআপ ম্যাজিক দেখানোর সুযোগ রয়েছে। তরুণ পরিচালকরা এর মধ্যেই এসব নিয়ে ভাবছেন। যা নি:সন্দেহে পজিটিভ।’ তানজিল জনি নিজেও চেষ্টা করছেন মডেলদের তৈরি করার জন্য।
বর্তমানে দুই শতাধিক তরুণ তরুণীদের মডেলিং শেখাচ্ছেন তানজিল জনি। এজন্য তিনি একটি গ্রুমিং স্কুল চালু করেছেন। নাম ‘তানজিলস ক্রিয়েশন’। গেল বছর নভেম্বর থেকে তানজিল জনির এই ফ্যাশন গ্রæমিং স্কুল চালু হয়েছে। যেখানে তিনটি ব্যাচে সপ্তাহে দুদিন করে ক্লাস নেয়া হয়। এসব ক্লাসে মডেলিংয়ের মূল বিষয়গুলো হাতে কলমে শেখান তানজিল জনি। ভর্তির জন্য সবাইকে নয়, বেছে বেছে নতুন ছেলে মেয়ে নেন বলে জানান তানজিল জনি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গ্রমিং সিজন (স্কুল) আমার। তিনমাসের কোর্স বলেই এটিকে সিজন বলছি। যারা নিষ্ঠাবান, মনোযোগী, পরিশ্রমী তারা আমার গ্রæমিং স্কুলে থাকাকালীন মডেলিংয়ের বিভিন্ন শোতে অংশ নিতে পারে।’ গেল চার বছর ধরে গ্রæমার ও ফ্যাশন কোরিওগ্রাফার হিসেবে কাজ করছেন তানজিল জনি। লেখাপড়া করেছেন ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে।
আজরা মাহমুদের মাধ্যমেই তার এখানে পথচলা শুরু। সাম্প্রতিক সময়ে এসে তানজিল জনির করা বেশ কিছু শুটের ছবি ভাইরাল হয়েছে। অনন্ত জলিলের পৃষ্ঠপোষকতায় হিরো আলমকে ভেঙে নতুন লুকে হাজির করেছিলেন তানজিল জনি।
টিকটকার অপুর নতুন লুক নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর আলোচনা হয়েছে। এছাড়া সিনিয়র জুনিয়র মডেলদের নিয়ে নিয়মিত কাজ করছেন জনি। ২০২০ দেশের সবচেয়ে বড় ফ্যাশন শো ট্রেসমি ফ্যাশন উইকে কাজ করেছেন তিনি। এ আয়োজনে ছয়টি দেশের বিদেশি কোরিওগ্রাফার মডেলরাও ছিলেন। এছাড়া ম্যাগাজিন, বিলবোর্ড ছাড়াও নানা মাধ্যমে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
নিজের কাজ নিয়ে তানজিল জনি বলেন, ‘পাঁচ বছর যাদের নিয়ে কাজ করতাম তারা প্রত্যেকেই ভালো অবস্থানে। বিভিন্ন শুটের সুযোগ দিয়ে আমার কোনো লাভ হয়নি। বরং অনেকে স্বীকার করতে চায় না। এটা নিয়ে আমার কোনো কষ্ট নেই।
তবে এখন আমি পেশাদারীভাবে গ্রæমিং স্কুল শুরু করেছি। এর বাইরে কোরিওগ্রাফার হিসেবে কাজটাও চালিয়ে যাচ্ছি। বিশেষ করে যারা লুক পরিবর্তন করে কাজ করতে চায়, তারা আমাকে বেশি ডাকেন। যেটাই করি শতভাগ মনোযোগ দিয়ে করতে চাই। নতুনত্বের স্বাদ দিতে চাই। এর বাইরে কোনো চাওয়া নেই। ’