রোববার দুপুরে জাহাজটির প্রধান কর্মকর্তা আতিকুল্লাহ খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ। অবিশ্বাস্য প্রচেষ্টার জন্য এসআর শিপিংকে ধন্যবাদ।
বন্ধু, পরিবার এবং সমস্ত শুভাকাঙ্ক্ষীদের ধন্যবাদ, যারা পুরো যাত্রায় প্রার্থনা করেছেন। ইউরোনাভফোর অপারেশন আটলান্টাকে ধন্যবাদ। ধন্যবাদ বাংলাদেশকে। তোমাকে ভালোবাসি এবং তোমাকে মিস করছি বাংলাদেশ।
অবশেষে মুক্তিপণে ছাড়া পেয়েছেন সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক। যদিও ঈদের আগেই মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল নাবিকদের। অবশেষে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে অক্ষত অবস্থায় নাবিকেরা মুক্তি পাওয়ায় তাদের মাঝে খুশির বন্যা বইছে।
জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।
এদিকে, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেছেন, জলদস্যুরদের মুক্তিপণ দিয়ে নাবিকদের উদ্ধারের তথ্য সরকারের কাছে নেই। শনিবার (১৩ এপ্রিল) নাবিক মুক্ত হবার সময় জলদস্যুরা নিরাপত্তার জন্য কয়েকজন নাবিককে জাহাজ থেকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল, কিন্তু সরকারের দৃঢ়তায় নাবিকদের নিরাপদ রেখেছে। আমার ধারণা, নাবিকদের দেশে ফিরতে ২০ দিনের মতও সময় লাগতে পারে।