36 C
Dhaka
Thursday, April 25, 2024

হেফাজত ষড়যন্ত্রে জড়িত বিএনপি নেতাদের তালিকা প্রস্তুত

চাকুরির খবর

হেফাজতের শীর্ষ নেতা এবং মাঠপর্যায়ের নেতাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদও করছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। মাদ্রাসার শিক্ষার্থী যারা ২৬ এবং ২৭ মার্চের তাণ্ডবের সঙ্গে জড়িত ছিলো তাদেরকেও গ্রেফতার করার প্রস্তুতি চলছে।

সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, হেফাজতের মধ্যে যারা এই সমস্ত অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত সরকার তাদেরকে চিহ্নিত করা এবং আইনের আওতায় আনার পর পরই আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হেফাজত ষড়যন্ত্রে জড়িত বিএনপি নেতাদের গ্রেফতারে অভিযান চালাবে।

বিএনপির একাধিক নেতা হেফাজত ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলো এমন তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিশেষ করে হেফাজতের যে সমস্ত নেতৃবৃন্দ গ্রেফতার হয়েছেন তারা বিএনপির সম্পৃক্ততার কথা বলেছেন। 

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সূত্রগুলো বলছে যে, বিএনপি`র শীর্ষ পর্যায়ের প্রায় সব নেতাই হেফাজতের এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলো। তারা কোনো না কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন এবং এই নির্দেশনা যেনো প্রতিপালিত হয় সে জন্য কাজ করেছেন।

বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে যে, হেফাজত ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি`র স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপি`র ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, অন্য ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ, বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ শতাধিক বিএনপি নেতার একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

যারা প্রত্যক্ষভাবে হেফাজতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, নাশকতার ব্যাপারে হেফাজতকে উস্কে দিয়েছেন এবং হেফাজত যেন সরকারবিরোধী একটি অবস্থান নেন সে ব্যাপারে হেফাজতকে পরামর্শ দিয়েছেন। 

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একটি সূত্র জানায় যে, হেফাজত বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে যে তাণ্ডব চালিয়েছিল এর পেছনে বিএনপি`র মদদ ছিলো।

এটি এখন আর অনুমিত বক্তব্য নয়। হেফাজতের প্রায় সব নেতারাই স্বীকার করেছেন যে বিএনপি নেতৃবৃন্দ হেফাজতের তাণ্ডবে উস্কানি দিয়েছিলো এবং তারা হেফাজতকে সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলো।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সূত্রগুলো বলছে যে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যে তাণ্ডব চালানো হয় সেই তাণ্ডবের সঙ্গে সরাসরিভাবে স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ জড়িত ছিল এবং তারা এই সমস্ত ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনাগুলোতে সহায়তা করেছে এবং বিএনপি নেতাদের নির্দেশে মাঠে ছাত্রদল, যুবদলের কর্মীরা ছিলো। সেই সমস্ত ভিডিও ফুটেজগুলো এখন বের করা হচ্ছে। 

সরকারি সূত্রগুলো বলছে যে, হেফাজতকে নিয়ন্ত্রণ করার পরপরই সরকার এর পেছনে যারা মদদদাতা, যাদের নাম এই ঘটনায় উঠে এসেছে তাদেরকে গ্রেফতারে অভিযান করা হবে।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সূত্রগুলো বলছে, যারা সন্ত্রাস নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে, যারা সরকার এবং জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে তাদেরকে একজনকেও ছাড় দেওয়া হবে না।

আর তাই হেফাজতের নেতৃবৃন্দ যেমন নির্মোহভাবে আইনের আওতায় আনা হবে ঠিক তেমনি যারা পেছন থেকে মদদ দিয়েছে, সেই মদদদাতাদেরকেও ছাড় দেওয়া হবে না।

সরকার হেফাজতের গ্রেফতার পর্ব সম্পন্ন হবার পরপরই বিএনপি`র বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান আসছে এবং বিএনপি`র শীর্ষ নেতারা এবার গ্রেফতারের আওতায় আসবেন বলে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।

বাংলা ইনসাইডার

- Advertisement -

আরও সাম্প্রতিক খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর