29 C
Dhaka
Wednesday, April 24, 2024

লক্ষ্মীপুরে ১৫ ইউপিতে ১২০টি কেন্দ্র ঝুকিঁপূর্ন

চাকুরির খবর

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে ১৫টি ইউপি নির্বাচনে ১৫৫টি কেন্দ্রে পৌঁছেছে নির্বাচনী সামগ্রী। ১৫টি ইউপির মধ্যে হাজিরপাড়া, উত্তরজয়পুর ও ভবানীগঞ্জ এ তিনটিতে ইভ্এিমে ও ১২টিতে ব্যালেটের মাধ্যমে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।

আদর্শ সামাদ একাডেমী মাঠ ও উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে এসব নির্বাচনী সামগ্রী পৌঁছানো হয়।

তবে অবাধ ও শান্তিপর্ণূ ভোট গ্রহনে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন। সর্তক রয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরাও।  ১৫টি ইউপির ১৫৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২০টি কেন্দ্রকে ঝুকিঁপূর্ণ চিহিৃত করে আইনশৃংখলা বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে।

এসব ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৭৯,সংরক্ষিত মহিলা পদে ১৫২জন ও সাধারন সদস্য পদে ৬৪২জন নির্বাচনী মাঠে রয়েছে।

এদিকে উত্তর হামছাদীর নৌকার প্রার্থী এমরান হোসেন নান্নুর নির্বাচনী অফিসে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগ উঠেছে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নজরুল ইসলামের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

এছাড়া ভবানীগঞ্জের নৌকা প্রার্থীর আবদুল খালেক বাদলের নির্বাচনী অফিস ভাংচুর, হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। শনিবার ভোররাতে এ দুইটি অফিসে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এর আগে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল হাসান রনি ও আওয়ামীলীগ প্রার্থী আবদুল খালেক বাদলের সমর্থদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫জন আহত হয়। আহতদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

অপরদিকে হামলা, মামলা, ভয়ভীতি, হুমকি-ধুমকির অভিযোগ এনে হাজিরপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সামছুল আলম বাবুল সংব্দা সম্মেলন করেছেন।

শনিবার দুপুরে নিজ নির্বাচনী কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুর নেতৃত্বে বাড়িঘরে হামলা ও তার সমর্থদের মারধর,এলাকা ছাড়া হুমকি-ধুমকি দেয়া হচ্ছে।

জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রকাশ্যেই নৌকা মার্কায় সিল মারার নির্দেশ দেন।

 এসব বিষয়ে ভোটারদের মধ্যে ভয়ভীতি কাজ করছে। পাবতীনগর,বশিকপুর, কুশাখালী, মান্দারী, ভবানীগঞ্জসহ প্রতিটি ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা একই অভিযোগ করেছেন।

তারা জানান প্রতিটি ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্রে আশপাশে বহিরাগত ও চিহিৃত সন্ত্রাসীরা অবস্থান নিয়েছে। এতে করে সুষ্ঠ ভোট নিয়ে আতংকিত হয়ে পড়েছেন প্রার্থী ও ভোটাররা।

সদর উপজেলা চন্দ্রগঞ্জ, দত্তপাড়া ও মান্দারী ইউনিয়ন রির্টানিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের দেওপাড়া, লতিফপুরসহ প্রায় ইউনিয়নের ৭টি কেন্দ্র এবং মান্দারী ইউনিয়নের ৩ টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বলে প্রাথীদের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর বৃদ্ধি করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এদিকে পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান ও জেলা প্রশাসক মো. অনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেন, সদর উপজেলার ১৫টি ইউপিতে ১৫৫টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ ভোট কেন্দ্রকে অতিগুরুত্বপর্ণূ হিসেবে চিহিৃত করা হয়েছে।

যেন সবাই নিবিগ্নে নিরাপদে ভোট দিতে পারে। আইনশৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সেটা ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদি কেউ ভোট নিয়ে অন্য কোন চিন্তা করে,তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে আইনশৃংখলা বাহিনী।

- Advertisement -

আরও সাম্প্রতিক খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর