30 C
Dhaka
Friday, March 29, 2024

মন্ত্রীদের সম্পর্কে ৫ তথ্য প্রধানমন্ত্রীর টেবিল

বিডিনিউজ ডেস্ক

চাকুরির খবর

টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার তৃতীয় মেয়াদের অর্ধেক সময় অতিক্রম করেছে। ৭ জানুয়ারি ২০১৯ সালে গঠিত মন্ত্রিসভার আড়াই বছর মেয়াদ শেষ হয়েছে।

অর্ধেকটা পথে কেমন করলো এই আওয়ামী লীগ সরকার এ নিয়ে মানুষের মধ্যে নানারকম মত রয়েছে। অধিকাংশ মানুষ মনে করেন যে প্রধানমন্ত্রী একক পরিশ্রমেই দেশ চলছে, মন্ত্রীদের দায়িত্ব পালন নিয়ে মানুষের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে।

অধিকাংশ মানুষই মনে করেন যে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া মন্ত্রিসভায় কেউই ক্যারিশম্যাটিক নেতা এবং প্রশাসক হিসেবে আবির্ভূত হতে পারেননি।

মূলত সব ব্যাপারেই প্রধানমন্ত্রীকে দিকনির্দেশনা দিতে হচ্ছে, হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে, একাই সামলাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী সবকিছু। আর এ কারণেই আমলাদের উপর নির্ভরশীলতা বেড়েছে বলে কোন কোন মহল মনে করেন। এরকম বাস্তবতায় মন্ত্রিসভায় রদবদলের কথা বলা হচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন যে, মন্ত্রিসভার কিছুটা রদবদল করে মন্ত্রিসভাকে আরো গতিশীল করা যেতে পারে।

মন্ত্রিসভার রদবদল হবে কিনা সেটি একান্তই প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারাধীন বিষয়। সংবিধান এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে একক ক্ষমতা দিয়েছে। তবে মন্ত্রিসভা রদবদল হোক না হোক মন্ত্রীদের পারফরমেন্স রিপোর্ট এখন প্রধানমন্ত্রী টেবিলে।

আড়াই বছরে মন্ত্রীরা কেমন দায়িত্ব পালন করলেন, কী করলেন ইত্যাদি নিয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছেন প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, পাঁচটি বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে মন্ত্রীদের সম্পর্ক। এর মধ্যে রয়েছে-

১. বিতর্কিত কোনো কর্মকাণ্ডে মন্ত্রীরা জড়িয়েছেন কিনা: গত আড়াই বছরের কার্যক্রমে মন্ত্রিসভার সদস্যরা বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছেন কিনা, কোন বিতর্কিত-বিব্রতকর, দল ও সরকারের জন্য ক্ষতিকর কোনো বক্তব্য রেখেছেন কিনা সে সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

২. সম্পদের হিসাব: গত আড়াই বছরে মন্ত্রীদের সম্পদের হিসাবও নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি সূত্র বলছে যে, প্রধানমন্ত্রী প্রতিবছরই মন্ত্রীদের সম্পদের হিসেব গ্রহণ করেন যদিও এটি প্রকাশ করা হয় না।

একজন মন্ত্রী শপথ নেওয়ার আগে বা নির্বাচনকালীন সময় যে সম্পদের হিসেব বিবরণী দিয়েছিলেন সেই হিসেবের সাথে বর্তমানে তাঁর সম্পদের অবস্থা কি তা মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। এই সম্পদের হিসেবের বিবরণীও প্রধানমন্ত্রীর কাছে গেছে বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

৩. মন্ত্রণালয়ের কাজে সময় দেওয়া: একজন মন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের কাজে কতক্ষণ সময় দেন, কত দ্রুত ফাইল নিষ্পত্তি করেন এবং কিভাবে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করেন সে সম্পর্কিত তথ্য প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহ করেছেন।

৪. পাবলিক ইমেজ: একজন মন্ত্রীর পাবলিক পাবলিক ইমেজ কেমন সেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং মন্ত্রীদের সম্পর্কে পাবলিক ইমেজ কেমন সেটা নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব উদ্যোগে মন্ত্রীদের সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে জনগণের ধারণাসূচক একটি জরিপ পরিচালিত হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

৫. কর্মকর্তাদের সঙ্গে সম্পর্ক: বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের সঙ্গে ওই মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সম্পর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই সম্পর্কটি কেমন এবং মন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সহযোগিতা পূর্ণভাবে কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যান কিনা সেটি একটি বিবেচ্য বিষয়। এ সংক্রান্ত তথ্যাদি প্রধানমন্ত্রী তার নিজস্ব উদ্যোগে সংগ্রহ করেছেন।

তবে এ সমস্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী কি করবেন সেটি দেখার বিষয়।

বাংলা ইনসাইডার

- Advertisement -

আরও সাম্প্রতিক খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর