34 C
Dhaka
Saturday, April 20, 2024

মনোনয়ন ঝুঁকিতে আওয়ামী লীগের ১০০ এমপি

বিডিনিউজ ডেস্ক | ঢাকা | ২৮শে আগস্ট, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার, ১৩ই ভাদ্র, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ , শরৎকাল, ২০শে মহর্‌রম, ১৪৪৩ হিজরি

চাকুরির খবর

বর্তমান সরকারের অর্ধেক মেয়াদ পেরিয়ে গেছে। ২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বর নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার আড়াই বছরের বেশি সময় পার করেছে।

আর স্বাভাবিকভাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবার নতুন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সারাদেশে দলের অবস্থা, এমপিদের অবস্থা সম্পর্কে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে, জরিপ করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ গত এক যুগের বেশি সময় ধরে নির্বাচনের তিন বছর আগে থেকে ধাপে ধাপে অনেকগুলো জরিপ করে।

২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সারাদেশে মাঠ পর্যায়ের ৬টি জরিপ করেছিল এবং এই জরিপগুলো থেকে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতেই মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল।

২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করলেও নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সারাদেশে অন্তত ১০টি জরিপ করেছিল এবং এই জরিপের ফলাফলের ভিত্তিতেই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল।

ওই জরিপের পরপরই আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছিলেন যে, আওয়ামী লীগ দুই-তৃতীয়াংশ বেশি আসনে জয়ী হবে।

২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সর্বাধিক ১২টি জরিপ করেছিল এবং ঐ সমস্ত জরিপের রিপোর্টের ভিত্তিতে মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছিল। সাধারণত আওয়ামী লীগ সভাপতি তার একটি নিজস্ব টিম দিয়ে জরিপ করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং দলের নেতৃবৃন্দকে দিয়েও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন।

তবে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর প্রতিবছর একটি করে জরিপ পরিচালনা করে যে জরিপটি একটি পেশাদার সংস্থা করে এবং আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে যে জরিপের প্রতিবেদন দেয়া হয়। এই জরিপের মূল্য বিষয় থাকে যে দলের জনপ্রিয়তা কতটুকু, দলের এমপিদের এলাকায় অবস্থান কি, নির্বাচন নিয়ে যে অঙ্গীকারগুলো করা হয়েছিল সে অঙ্গীকার কতটুকু বাস্তবায়ন করা হয়েছে ইত্যাদি।

আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতির উদ্যোগে দুটি জরিপ হয়েছে। প্রথম জরিপটি হয়েছে ২০১৯ সালে যে জরিপের তথ্য উপাত্ত প্রধানমন্ত্রীর কাছে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে দেওয়া হয়েছে। আর দ্বিতীয় জরিপটি করা হয়েছে না চলতি বছরের ডিসেম্বরে যে জরিপের তথ্য উপাত্ত আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে ইতিমধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে।

একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, এই জরিপে ১০০ এমপির নাজুক অবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এইসব এমপিরা হয় এলাকায় যাচ্ছেন না বা এলাকায় নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন অথবা এলাকার স্থানীয় আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্কহীন হয়ে পড়েছেন। যে ১০০ জন এমপি ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে তাদেরকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

প্রথমত, তারা দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে স্থানীয় নির্বাচনে তাদের নিজস্ব প্রার্থী দিয়েছেন এবং সেই সমস্ত প্রার্থী দেয়ার মাধ্যমে তিনি নৌকা প্রতীককে পরাজিত করার চেষ্টা করেছেন। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়ে দিয়েছেন যে, যারা নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে তাদেরকে আর কোনদিন নৌকা প্রতীক দেয়া হবে না।

দ্বিতীয়ত, কিছু এমপি পাওয়া গেছে যারা এলাকায় একেবারেই যান না এবং এলাকার কোন খোঁজখবর নেন না। এলাকার দল এবং জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।

তৃতীয়ত পাওয়া গেছে যেটিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে যে, তারা এলাকায় গেলেও স্থানীয় পর্যায়ে এবং জাতীয়ভাবে এমন কিছু বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে ফেলেছেন যার ফলে দলের ইমেজ এবং ভাবমূর্তি প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

এই তিন ধরনের এমপিদের সংখ্যা একশ`র কাছাকাছি বলেই আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো মনে করছে। আওয়ামী লীগ প্রতিবছর নির্বাচনের আগে এরকম প্রতিবছর জরিপের মাধ্যমে দেখে পরিস্থিতি গুলো কোন উন্নতি হয় কিনা।

ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি কয়েকজন এমপিকে সতর্ক বার্তা দিয়েছেন বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। ঝুঁকিতে থাকা এই শতাধিক এমপি যদি তাদের এলাকার এলাকায় জনপ্রিয়তা পুনরুদ্ধার করতে না পারেন তাহলে আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নাও জুটতে পারে।

বাংলা ইনসাইডার

- Advertisement -

আরও সাম্প্রতিক খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর