31 C
Dhaka
Saturday, April 20, 2024

বিশ্বব্যাপী বঙ্গবন্ধুর প্রভাব: বান কি মুন

চাকুরির খবর

বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সূচনালগ্নে কূটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতা ও মুক্তিকামী মানুষের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে প্রেরণা হিসেবে কাজ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উত্তরাধিকার।

সোমবার এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রভাব ও উত্তরাধিকার বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে গেছে, উদ্বুদ্ধ করেছে বিশ্বব্যাপী অন্য উপনিবেশবাদ বিরোধী ও স্বাধীনতা সংগ্রামকেও।

‘ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্তিতে বিশ্বাসী হিসাবে তিনি ছিলেন একাধারে সমন্বিত কূটনীতির প্রবক্তা ও অনুশীলনকারী। এটা স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের পুনরুদ্ধার ও শিল্পায়ন এবং লাখ লাখ মানুষকে অতি দারিদ্র থেকে ‍উত্তরণে করেছে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজের চতুর্থ পর্বে ‘বঙ্গবন্ধু: বাংলাদেশের চেতনা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব।

একাত্তরে বাংলাদেশ যখন মুক্তিযুদ্ধ করছে, তখন দিল্লিতে দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাসে অধঃস্তন কূটনীতিক ছিলেন জাতিসংঘের অষ্টম মহাসচিব বান কি মুন।

১৯৭৩ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন হওয়ার সময়গুলো খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন তিনি। কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চুক্তির সময় যে প্রতিনিধিদল ঢাকা সফরে এসেছিল, সেটির সদস্যও তিনি ছিলেন।

বান কি মুনের কলম দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত ওই চুক্তিতে সই করেছিলেন জানিয়ে সোমবার তিনি বলেন, ‘এখনও সেই কলম আমি নিজস্ব স্যুভেনির হিসেবে সংরক্ষণ করেছি। এটা আমার ব্যক্তিগত স্মৃতি।’

বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বর্ণনা দিতে বান কি মুন বলেন, ‘আধুনিক বাংলাদেশের জনক হওয়ার পাশাপাশি বিশ্বনেতা হিসেবেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আজীবন স্মরণ করা হবে।

বাংলাদেশে অধঃস্তন কূটনীতিক হিসেবে সেই সময়ে এটা আমার কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু এমন ছিলেন দূরদর্শী ব্যক্তি ও বিরল নেতা যিনি সদ্য জন্ম নেওয়া বাংলাদেশ কীভাবে উন্নতি লাভ করবে, সেই অভীষ্ট তার ছিল। মানবাধিকার, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমতা এবং পরিবেশের ক্ষেত্রে তিনি, যিনি তার সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘ভাষা ও সাংস্কৃতিক অধিকারের পাশাপাশি স্বাধীনতা ও নিজেদের শাসনের জন্য সংগ্রাম করার জন্য বাংলাদেশের মানুষকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে চ্যাম্পিয়ন ছিলেন তিনি। মানবাধিকারের জন্য তার অঙ্গীকার সে জায়গায় থেমে থাকেনি, বিশ্বের অন্য প্রান্তে নিপীড়িত মানুষের ক্ষেত্রে ছড়িয়ে গিয়েছিল।’

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নে ভর করে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরতে গিয়ে সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বান কি মুন।

সেখান থেকে দারিদ্র বিমোচন, নারী শিক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ অন্য কয়েকটি খাতে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা তুলে ধরেন তিনি।

অর্থনীতির পাশাপাশি দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য কাজের দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক জলবায়ু অভিযোজনে তাৎপর্যপূর্ণ উদ্যোগ নেওয়ায় বাংলাদেশ এখন ক্ষেত্রে বিশ্বের নেতৃত্বের আসনে রয়েছে।

- Advertisement -

আরও সাম্প্রতিক খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর