31 C
Dhaka
Thursday, April 25, 2024

উত্তাল মার্চ ৬ মার্চ ১৯৭১: স্লোগান উঠেছিলো ‘জয় সর্বহারার জয়, জয় বিদ্রোহী বাংলার জয়, জয় নিপীড়িত মানুষের জয়’

চাকুরির খবর

অনলাইন ডেস্ক: সেদিন স্লোগান উঠেছিলো ‘জয় সর্বহারার জয়, জয় বিদ্রোহী বাংলার জয়, জয় নিপীড়িত মানুষের জয়’। একটি স্লোগান সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হতে থাকলো ‘ভুট্টোর মুখে লাথি মারো-বাংলাদেশ স্বাধীন করো’।

পহেলা মার্চের পর থেকে গুলিবিদ্ধ লাশের সংখ্যা বাড়তে থাকে। রংপুর, চট্টগ্রাম, খুলনা, যশোর আর ঢাকার পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে।

পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য মূলতবী ঘোষণা করার পর থেকেই শহর-বন্দর আর গ্রামে গ্রামে বিক্ষোভ-জনসভা চলতে থাকে। বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ স্বাধীনতা চায়। 

সারাদিন অর্থাৎ সকাল ছয়টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত হরতাল ছিল। রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড তৈরি হলো। সশস্ত্র-বাহিনীর ট্রাক আর অ্যাম্বুলেন্স ঘন ঘন যাতায়াত করছিল। কিন্তু বন্ধ ছিলোনা মুক্তিকামী বাঙালির মিছিল,মিটিং, সংগ্রাম, আন্দোলন।

স্বাধীনতা সংগ্রোমের একটি নতুন দেশ বাংলাদেশ। দেশটির স্বাধীনতার ইতিহাসে মার্চ মাস বিশ্বের ভূখণ্ডে নতুন একটি মানচিত্র তৈরির মাস।

বিশ্ব ভূখণ্ডে নবসৃষ্ট বাংলাদেশের ইতিহাস পরিবর্তনের মাস- উত্তাল এই মার্চ মাস। বাংলাদেশের জন্ম হয় এই উত্তাল মার্চেই। ‘উত্তাল মার্চের দিনগুলো’র ষষ্ঠ পর্বে থাকছে ৬ই মার্চের ঘটনাপ্রবাহ।

৬ মার্চ ১৯৭১। দুপুর একটা পাঁচ মিনিটে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া দুপুরে এক বেতার ভাষণে ঢাকায় ২৫ মার্চ পুনরায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেন। তিনি এতদিনের আন্দোলনকে গুটিকয়েক ব্যক্তির কাজ বলে উল্লেখ করেন।

তার বক্তব্য জনগণের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। ঢাকার রাজপথ এদিন স্বাধীনতাকামী জনতার দৃপ্ত পদচারণায় প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। উত্তেজিত জনতা চিৎকার করে বলতে থাকেথ ‘রক্ত চাও নেবে তবু স্বাধিকার দিতেই হবে।’

- Advertisement -

আরও সাম্প্রতিক খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর