25 C
Dhaka
Tuesday, March 19, 2024

অর্থাভাবে বন্ধ হতে বসেছে গরীব মেধাবী স্কুল ছাত্র সাব্বিরের চিকিৎসা

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

চাকুরির খবর

অর্থাভাবে বন্ধ হতে বসেছে মেধাবী স্কুল ছাত্র সাব্বির মৃধার (১৫) চিকিৎসা। গাছ থেকে পড়ে আহত হয়ে খুলনা গরীব নেওয়াজ ক্লিনিকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

সাব্বির গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের তরু মৃধার ছেলে ও জাটিগ্রাম মমতাজ মেমোরিয়াল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আঘাতে মস্তিষ্কে রক্ত জমে ঘাঁয়ের সৃষ্টি হয়েছে। তাকে বাঁচাতে হলে মাথায় অপারেশন করাতে হবে। এতে অনেক টাকার প্রয়োজন। কিন্তু দরিদ্র বাবার পক্ষে এতো টাকা যোগাড় সম্ভব না।

সন্তানের এমন করুন অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাব্বিরের মা-বাবা। কোথায় পাবেন এতো টাকা? এমন ভাবনায় দিন কাটছে তাদের।

জানা গেছে, গত ২৯ মার্চ বাড়ির পাশে কাঠাঁল গাছের ডাল কাটতে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে সাব্বির। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কাশিয়ানী ১শ’ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিউরোসাইন্স হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।

পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও গ্রীন লাইফ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পর কোন উন্নতি না হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বাড়িতে নিয়ে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দিয়ে ছাড়পত্র দেন।

এরপর তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ ও গরীব নেওয়াজ ক্লিনিকে চিকিৎসা করানো হয়। সাব্বির এখন খুলনার গরীব নেওয়াজ ক্লিনিকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। অর্থাভাবে সেখানেও রাখা সম্ভব হচ্ছে না।

সাব্বিরের বাবা তরু মৃধা বলেন, ছেলের প্রতিদিন প্রায় দুই-আড়াই হাজার টাকার ওষুধ লাগছে। সহায়-সম্বল যা ছিল খুঁইয়ে ছেলের চিকিৎসায় ব্যয় করেছি। এখন আর অর্থাভাবে ঠিকমত ওষুধ কিনতে পারছি না।

চোখের সামনে ছেলের মুমুর্ষ অবস্থায় দেখে বুকটা ফেটে যায়। ওষুধের খরচ যোগাতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছি। কোথায় যাব, কি করবো। একদিকে সন্তানের চিকিৎসার খরচ, অন্যদিকে পরিবারের খরচ যোগাতে পারছি না। তাই সমাজের বিত্তবানদের কাছে আমার ছেলের চিকিৎসার জন্য মানবিক সাহায্যের আবেদন করছি।

মা রাফেজা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার দু’টি ছেলে। বড় ছেলে প্রতিবন্ধি। ছোট ছেলেটাও গাছ থেকে পড়ে তিন মাস অচেতন হয়ে হাসপাতালের বেডে পড়ে আছে। টাকার অভাবে ঠিকমত ওষুধ কিনতে পারছি না। আমি মা হয়ে কিভাবে সহ্য করবো। আমার ছেলেকে আপনারা বাঁচান’

কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রথীন্দ্র নাথ রায় বলেন, আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হলাম। আমি তাকে আর্থিক সাহায্য করার চেষ্টা করবো।

যোগাযোগ-সাব্বিরের বাবা তরু মৃধা-০১৮৭৩৬৩৯৫৮২

- Advertisement -

আরও সাম্প্রতিক খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর