ডোনাল্ড ট্রাম্প: সারা বিশ্বের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। দেশটিতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যুও হয়েছে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের।
মি. ট্রাম্প শুরু থেকেই করোনাভাইরাসের হুমকিকে খাটো করে দেখিয়েছেন। ভাইরাসটিকে তিনি খুব একটা গুরুত্ব দেননি। এমনকি মহামারি মোকাবেলায় কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগের ব্যাপারেও তিনি বারবার বাধা দিয়েছেন। বিজ্ঞানী ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বিভিন্ন বক্তব্যের সমালোচনাতেও তিনি কখনও কখনও মুখর হয়েছেন।
জানুয়ারি মাসে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও গোয়েন্দাদের সতর্কতা সত্ত্বেও তিনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু মার্চ মাসের পর থেকে ধীরে ধরে তার অবস্থানের পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে।
তখন থেকে মহামারি মোকাবেলায় জাতীয়ভাবে কিছু তৎপরতা শুরু হয়। বিভিন্ন রাজ্যের সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়া হয় পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য।
জো বাইডেন: তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তার প্রথম কাজই হবে মহামারি মোকাবেলা করা।
এজন্য তিনি একটি জাতীয় পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন। ফ্রি নমুনা পরীক্ষা, টেস্ট সহজলভ্য করা, কন্টাক্ট ট্রেসিং-এর জন্য এক লাখ কর্মী মোতায়েন, চিকিৎসা- এসবের জন্য সর্বোচ্চ খরচের ব্যাপারেও তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। প্রত্যেক রাজ্যের গভর্নরকে তার এলাকার লোকজনের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার বিষয়েও জোর দিয়েছেন তিনি।
ভবিষ্যতের যে কোন মহামারি মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিয়ে রাখার কথাও বলেছেন জো বাইডেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, নির্বাচিত হলে এই সঙ্কট মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রকে তিনি বিশ্ব নেতৃত্বের অবস্থানে নিয়ে আসবেন। তার প্রশাসন আবারও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় যোগ দিয়ে মহামারি মোকাবেলায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা গ্রহণ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।