তানজিলা আক্তার লিজা, ডিআইইউ প্রতিনিধি: আমাদের মতো অনাহারী বাচ্চাদের জন্য ইটটু মায়া রাখো না তোমাদের মনে। এতটা অবহেলা করো কেনো আমাদের? এই শিক্ষিত সমাজ কী আমাদের মতো অনাহারী এতিম বাচ্চাদের আদর করতে জানেনা?
পেটের টানে ক্ষুধা নিবারনের জন্য এক মুঠো খাবারের খুঁজে তোমাদের দ্বারে ভিক্ষা চাই। কেও হয়তো দেয় একটাকা, আবার কেও দেয় দুটাকা আর অনেকেই দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়।জানো, ক্ষুধার টানে দোকানের পাশ দিয়ে যাবার সময় রুটি,কলার দিকে অবরত চোখ পড়ে কিন্তুু দোকানদার তো তোমাদেরই সমাজের মানুষ বিনামূল্যে অনাহারী শিশুকে তারাও দেয়না।
এমনকি এমন ও দিন আসে ক্ষুধা অত্যাধিক থাকায় কুকুরের মুখ থেকে খাবার নিয়ে কুকুর কেও দিয়েছি আমরা ও খেয়েছি। তাও তোমাদের শিক্ষিত সমাজ বলে,টোকাই ছেলে-মেয়েরা চোর ওরা নাটক করে চুরি করতে আসে।
আচ্ছা, তাহলে কী আমাদের মরে যেতে বলছো?..ভিক্ষা চাইলেও ইটটু খাবারের জন্য দুটাকা দেওনা। তখন এই ক্ষুধার যন্ত্রণা সহ্য না করে আর কী করবো আমরা অনাহারী শিশুরা।
আমরাও তো মানুষ। আমাদের ও তো বেঁচে থাকতে ইচ্ছা করে। কর্ম করতে গেলে তখনও বলে উঠে, দূরে যা তোর গা থেকে গন্ধ আসছে। তাই বলে কর্মে ও নেও না তোমরা।
দিনশেষে ক্ষুধার এই ভয়াবহ যন্ত্রণা সহ্য না করতে পেরে তোমাদের ফেলে দেওয়া খাবার খুঁজতে থাকি। তখন আবর্জনার সাথে টুকটাক কিছু মিলেই যায় তখন তা নাক চেপে শ্বাস আটকিয়ে খেয়ে নিয়ে ছুটে চলি রাত্রি যাপনের উদ্দেশ্যে।
রাত্রি যাপনের জন্য ছুটে চলি ফুটপাতে। রাস্তার কিনারায় শক্ত একখান ইটকে মাথার নিচে রেখে আকাশ পানে তাকিয়ে শুকরিয়া বলে নিদ্রায় চলে যায়।
আমাদের তোমরা ঘৃনা করো না। আমরাও বেঁচে থাকতে চাই এই সমাজে তোমাদের সনে।” শুধু একমুঠো ভালোবাসা দেও”।